এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
দশ বছর পর যশোরের ঝিকরগাছার বোধখানা বাঁওড়ের পাড়ে সবুজ ফসলের সমারোহ দেখা দিয়েছে। বাঁওড়ের চারপাশে অন্তত ৬শ’ বিঘা জমিতে এ মৌসুমে কৃষকেরা ধান-পাটের সাথে রবিশস্যের আবাদ করেন। দীর্ঘদিন পরে আবাদ করতে পেরে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। বাঁওড়ের সাথে সংযুক্ত বোধখানা খালটি পুনঃখনন করা হলে এসব জমিতে সব সময় আবাদ করা যাবে বলে কৃষকরা জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁওড়ের চারপাশে সবুজ ফসলে ভরে রয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে ভুট্টার আবাদ বেশি। পাশাপাশি ধান, টমেটো, পটল ও ঘাসেরও আবাদ করেছেন কৃষকেরা। দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকলেও গেল মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার চাষ করতে পারায় এতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাঁওড়ের উত্তর পাড়ে হরিতলা, পূর্ব পাড়ে পাথরঘাটা ও দক্ষিণে জাফরনগরের মাঠ। বৃষ্টি ও বাঁওড়ের উপচে পড়া পানিতে ডুবে থাকার কারণে ১০ বছর ধরে এলাকার মানুষ বছরে একটি করে আবাদ করতে পারেন। এ বছর পাড়ে পানি না থাকায় তিনটি আবাদ করতে পেরেছেন কৃষকেরা।
বোধখানা গ্রামের ওসমান গণি বলেন, বাঁওড়ের পাড়ে ৬ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। এর আগে এ জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। ভুট্টা কেটে মাচা তৈরি করে ঝিঙ্গা লাগাবো। পানিতে ডুবে থাকায় ১০ বছর ধরে উপরের কিছু জমিতে শুধু বোরো আবাদ হতো।
একই গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ১০ বছর পর বাঁওড়ের পাড়ে এবার তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা, পটল, ধান ও ঘাসের আবাদ করতে পেরেছি। বাঁওড়ের সাথে সংযুক্ত খালটি পুনঃখনন করা হলে এবারের মতো সব সময় তিনটি করে ফসলের চাষ করা যাবে।
বোধখানা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বাঁওড় পাড়ে এবার তিনটি ফসলের চাষ করা গেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। কৃষকরাও সে মোতাবেক চাষ করেছেন। ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।