নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্রুত লিফট স্থাপন, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১২ দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাঁচঘণ্টা উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে যবিপ্রবি ছাত্রলীগও এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের ১২ দফা দাবির মধ্যে যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। আর কিছু দাবি আছে, যেগুলো আমার এখতিয়ারে নেই। আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে আমার কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কথা বলাও ঠিক না। কিছু দাবি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন। সেই দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আর লিফট স্থাপনের বিষয়টি টেন্ডারপ্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। লিফট বুঝে নেয়া কমিটি সেটি বুঝে নেয়ার পর স্থাপনের নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। তার আগে কিছু করার নেই।
যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সেমিস্টার ফি কমানো, নবনির্মিত ভবনের লিফট লাগানো, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১২ দফা দাবিতে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় যবিপ্রবি ছাত্রলীগও আন্দোলনে এসে যুক্ত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ের বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাধানের কোন আশ্বাস মেলেনি। এজন্য রোববার সকাল থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, লিফট স্থাপনসহ ১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে শামিল হন। ১২ দফা দাবি নিয়ে শনিবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করলে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। এই দাবি আদায়ে প্রয়োজনে তারা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।