নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে মারা যান তিনি।
পীযূষ কান্তির বড় ছেলে বাবলু ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্যের দুই ছেলে, দুই মেয়ে। বড় ছেলে বাবলু ভট্টাচার্য্য চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ছোট ছেলে পার্থ এবং ছোট মেয়ে তাপসী সুইডেনে থাকেন। আর বড় মেয়ে আবৃত্তিকার তপতী, স্বামী সন্তান নিয়ে কলকাতায় থাকেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য ১৯৭৩ সালে যশোর-৫ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার ভাই স্বপন ভট্টাচার্য্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য যশোরের মণিরামপুরের দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের পাড়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সুধীর কুমার ভট্টাচার্য ও মাতা ঊষা রানী ভট্টাচার্য। ১৯৫৬ সালে খাজুরা এমএন মিত্র বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও এমএ পাস করেন পীযূষ কান্তি।
রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলেন পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। মশিয়াটি উচ্চ বিদ্যালয় ও গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কেশবপুর ডিগ্রি কলেজেও শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাড়ালা ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্যকে হত্যার করার জন্য হুলিয়া জারি করে।
সে সময় তিনি তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতে মুজিব সরকারের শরণার্থীদের স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও কাজ করেন পীযূষ কান্তি । ১৯৭৩ সালে মণিরামপুর ও কেশবপুরের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
