নিজস্ব প্রতিবেদক
আর এক দিন পেরোলেই ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে আগ্রহের শেষ থাকে না শিশুদের। তাদের বায়না মেটাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেন অভিভাবকরাও। তবুও বঞ্চিত থেকে যায় সমাজের অসহায় পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের ঈদের খুশির পূর্ণতা দিতে তাদের নিয়ে মেহেদি উৎসব করেছেন যশোরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ জেলা শাখার সদস্যরা। মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কালেক্টরেট পুকুর পাড়ে এই উৎসব হয়। এ উৎসবে সংগঠনের নারী সদস্যরা প্রায় অর্ধশতাধিক অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাত মেহেদির আল্পনা এঁকে দেন। এতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে এসব শিশু।
ফাতেমা নামে দশবছর বয়সী শিশু অনেক উচ্ছ্বাসিত ছিলো। ‘তার জীবণে প্রথম মেহেদী দিয়ে হাত রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। একটু হেসে বলে উঠলো ‘অনেক ভালো লাগছে তার মেহেদী দিয়ে। তার মুখে হাসিতে ফুটে উঠে ঈদের খুশি। সাদিয়া নামে আরেক শিশু বলেন, ‘বস্তিতে থাকি। মা পরের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা রিকসা চালান। মেহেদী দিতে ইচ্ছা করে; তবে দেওয়া হয় না। দিলেও সুন্দর করে হাতে মেহেদি সাজিয়ে দিতে পারে না। আপারা আজ সুন্দর করে হাতে মেহেদী দিয়ে দিয়েছে। খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
রাহিয়া ভুইয়া নামে সংগঠনের সদস্য বলেন, ‘ঈদে সাধারণত ছোট ভাই- বোনদের হাতে মেহেদি দিয়ে আমরা আনন্দ পাই। তবে এবার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে মেহেদি রাঙিয়ে দিতে পেরে আরও অনেক ভালো লাগছে। সংগঠনের সদস্য এ বি সৌমিক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আশেপাশে অনেক শিশু রয়েছে যারা সুবিধাবঞ্চিত, তাদের মাঝে ঈদের খুশি বিলিয়ে দেওয়ার জন্য ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ যশোর জেলার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রায় অধশতাধিক শিশুদের হাত রাঙাতে পেরে খুশি লাগছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাউফুর রাহমান তাজবীর, মোহাম্মাদ হাসিব, এম এইচ রিয়াদ, রাহিয়া ভুইয়াসহ অন্যান্য ভলান্টিয়ারের সদস্যরা।
