নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) আসাদ হলে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বক্কর সিদ্দিকীকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দুপুরে কলেজের আসাদ হলে ভাঙচুরের ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাসের সভাপতি-সম্পাদকের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে জেলা ছাত্রলীগ। এদিকে, ভাংচুরের ঘটনায় উপ্তপ্তের মধ্যেই ওই দিন রাতেই মেয়াদ উর্ত্তীণের ছয় বছর পর কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক শাহাদত হোসেন বলেন ,‘হলে কে বা কারা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে আমরা এখনো পরিস্কার হতে পারেনি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবো। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় একটি পত্রিকায় রাষ্ট্র বিরোধী ও হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে ছাত্রলীগ। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস। তবে এই মানববন্ধনে আসাদ হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা না আসায় তাদের ডাকতে যান। হলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে তিনি ছাত্রাবাসের ২০১,২০২, ২০৩, ও ২০৫ ও ২০৭ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করেন। এতে ভাঙচুরে সভাপতি ছাড়াও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে একই দিন বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। সেই বিভক্তি ছাত্রলীগের মধ্যেও বিরাজমান। ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ আসাদ হল ও কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির দখলে রাখতে প্রায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বুধবারের ঘটনাটাও সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।
