নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটক চার যুবককে যুবদলের কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই সংবাদের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে করেছে জেলা যুবদল। তাদের দাবি, ‘আটককৃতরা যুবদলের কেউ না।’ অন্যদিকে, ঘটনার পর শুক্রবার মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চারজনই যুবদলের সক্রিয় কর্মী। তাদের অপকর্মের দায় দল নেবে না।’
শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা বলেন, সম্প্রতি মণিরামপুরে কিছু যুবক আটক হয়েছে। তাদেরকে কেউ কেউ যুবদল কর্মী হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে তারা যুবদলের কেউ না। তাদের কোন কর্মকা-ের সাথে যুবদলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা কোন দলীয় কর্মী নন। তাই তাদেরকে যুবদলের কর্মী হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে যারা এই ধরণের অসত্য তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছে, তাদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদ ইকবাল হোসেনের বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, যুবদল সম্পর্কে কোন বিষয়ে জানার থাকলে ওই এলাকার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক কিংবা জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা নিশ্চিত করবেন কারা যুবদল করেন। বিএনপির সভাপতি কিভাবে জানবেন কারা যুবদল করেন ?
এদিকে, শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মনিরামপুর পৌর শহরে গরুর হাটখোলা মোড়ে রজনী নিবাস হোটেলের চতুর্থতলার ৪০৮ নাম্বার কক্ষের ভিতরে যশোর টু চুকনগরগামী মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করার পরামর্শ ও প্রস্তুতি চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় কক্ষের ভিতরে চারজনকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় একটি খেলনা পিস্তল, একটি সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মণিরামপুর পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দুর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা। পরে একটি মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার রাতে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আটক চারজন যুবদলের সক্রিয় কর্মী। ব্যক্তির দায় দল নেবে না। আমি জানিয়েছে দিয়েছি দলে থেকে কেউ অপকর্ম করলে, তাদের দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকেও সহযোগিতা করা হবে।’
তবে সংবাদ সম্মেলনের পর ফোন করা হলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন আবারও বলেন, ‘পদ-পদবি আছে কিনা বলতে পারবো না। তবে আমার জানামতে তারা যুবদলের কর্মী।’
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযানের সময় একজন কৌশলে পালিয়ে যায়। মামলায় ৫জনকে আসামি করা হয়েছে।’