নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা যুবলীগ নেতা ও যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বহুল আলোচিত সাবেক কাউন্সিলার জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোহাম্মদ আলী।
ডিবি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগে মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। এসব মামলার কয়েকটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল তার অবস্থান শনাক্ত করে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। গ্রেফতারের পর তাকে যশোরে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
গ্রেফতারকৃত মিলন যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার বাসিন্দা এবং রোস্তম আলীর ছেলে।
ডিবি পুলিশ জানায়, টাক মিলনের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক আইনে মামলাসহ অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকায় যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার মামলা।
এছাড়া ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবনে বোমা হামলার ঘটনায়ও তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, মিলনের নেতৃত্বেই ওই হামলা সংঘটিত হয়।
এর আগে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় দুবাই থেকে স্ত্রী ও সন্তানসহ দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ অবস্থায় তিন সহযোগীসহ আবারও আটক হন তিনি।
পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী, যশোর শহরের পালবাড়ির রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো ও জুয়া ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গেও মিলনের নাম জড়িয়ে আছে। মূলত ক্যাসিনোবিরোধী ও শুদ্ধি অভিযানের সময়ই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।
ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
