খুলনা প্রতিনিধি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না। নৌপথ খননের জন্য বঙ্গবন্ধু আটটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, এখন দেশে প্রায় ৮০টি ড্রেজার আছে। নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যারা নদী দখল করেছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। এখন তা যাচাই-বাছাই চলছে। দখলদারদের হাতে নদী থাকবে না, উদ্ধার হবেই।’
আজ শুক্রবার বিকেলে খুলনার রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে উন্মুক্ত তিন দিনব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার-নদী দখলদারদের হাতে থাকবে না। তাঁর নির্দেশনায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৮০টি ড্রেজার সংগৃহীত হয়েছে। নৌপথ দখল ও দূষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নৌপথ ও নদী রক্ষার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের পাশে বর্তমান সরকার রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরো দেশে পড়ছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে। কাকলী প্রধান নদী নিয়ে যে আয়োজন করেছে—এটা সব জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলেই দেশের নদী রক্ষা পাবে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশকে আমরা প্রবহমান নদীর দেশে রূপান্তরিত করব। নদী উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান ও অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মাসুম মাহমুদ।
উল্লেখ্য, আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান ও শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি’ সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ১০০ নদীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও টেকনাফে। টেকনাফে ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ড্রেজার বেইজে ১৬-১৮ মার্চ এবং ঢাকার শ্যামপুর ইকোপার্কে ২০-২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
১ Comment
Pingback: ইয়াবাসহ পাইকগাছায় আটক আশাশুনির রেজাউল