নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে যশোর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের টাউন হল ময়দান থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়। বাদ্যের তালে তালে লাল-সবুজ রঙের বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে এ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা প্রশাসন ছাড়াও বীলমুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, টাউন হল ময়দানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। এসময় তিনি বলেন, ‘যশোরের মাটি খাঁটি সোনা। এখান থেকেই বিজয়ের সূচনা হয়েছিল।
বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আজ এ আনন্দ শোভাযাত্রাতে পথ চলছি। তিনি সকলকে এমনভাবে পথ চলায় আর্থ-সামাজিক ও মানবিক সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সকলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। সারাদেশের সকল শুভ কাজের সূচনায় যশোর নেতৃত্ব দেবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার আলী হোসেন মনি, ডেপুটি কমান্ডার রবিউল আলম, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এএইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক যশোর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল প্রাচীনতম এই যশোর জেলা। ওইদিন দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর। যশোরেই প্রথম উঠেছিল বিজয়ী বাংলাদেশের রক্ত সূর্যখচিত গাঢ় সবুজ পতাকা।