নিজস্ব প্রতিবেদক
চতুর্থধাপের নির্বাচনের সাথে স্থগিত হওয়া যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ হিসেবে আগামী ৫ জুন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুনানি শেষে উচ্চ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ বিষয়ে অন্ধকারে যশোরের নির্বাচন অফিস। জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ রাত ৯টার দিকে বলেন, আমরা এ ধরনের কোন নির্দেশনা পাইনি। উচ্চ আদালত কিংবা নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। আদেশ পেলে অফিসিয়ালি জানানো হবে।
২৯ মে যশোর সদর উপজেলার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শাহারুল ইসলাম নামে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি মামলার আদেশের পর ভোট গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশনের এ সংক্রান্ত এক পত্র যশোরে আসে। ওইপত্রের স্মারক নম্বর উল্লেখ করে জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুর ওইদিন সন্ধ্যায় নির্বাচন স্থগিতের পত্র জারি করেন।
সূত্র মতে, আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। একটি পদে থেকে আরেকটি পদে নির্বাচন করা যাবে না উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেননি। এ কারণে তিনি তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করতে হাই কোর্টে রিট পিটিশন করেন। যার রিট পিটিশন নম্বর ৫৫৭৫/২০২৪। এরপর গত ১৩ মে হাই কোর্ট শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিপিএলএ নম্বর ১৭১৩/২০২৪ দায়ের করলে গত ২০ মে ‘নো অর্ডার’ আদেশ জারি করে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের ওই আদেশ বাস্তবায়নে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়। এ সংক্রান্ত পত্র বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরে পৌঁছে। যার স্মারক নম্বর ১৭.০০.০০০০.০৭৯.৪০.০০৬.২৪-৩৫৮।
এদিকে, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহারুল ইসলামসহ মোট আটজন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পাঁচজন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন লড়বেন। ইসির গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর ফের তারা গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
