নিজস্ব প্রতিবেদক
ভেঙে ফেলা হলো শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের মধ্যে সব থেকে বড় ম্যুরালটি। যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের কাছে বকুলতলা মোড়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক্সকেভেটর দিয়ে ম্যুরালটি ভাঙা শুরু হয়।
গতকাল বিকেল চারটার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এক্সকেভেটর, হাতুড়ি, শাবল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে জড়ো হন যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানার অদূরে বকুলতলায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কালেক্টরেটের উত্তরপূর্ব কোণে অবস্থিত ম্যুরালটি স্লোগানের তালে তালে ভাঙতে শুরু করেন তারা। রাত ৮টা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাঙার কাজ চলছিল।
এ নিয়ে যশোরে শেখ মুজিব ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কিত আটটি স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। যা শুরু হয়েছে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটা থেকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর আগে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা যশোরের যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল তার মধ্যে বকুলতলার ম্যুরালটিও ছিল।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ম্যুরালটি উদ্বোধন করেছিলেন। এর নাম ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল’। ১৬ ফুট উচ্চতার এই ম্যুরালটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ২৯ লাখ ৯ হাজার ৯৫ টাকা।
যশোরে স্থাপিত এই ম্যুরালটিই ছিল দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সব থেকে বড় ম্যুরাল। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও সাবেক জনপ্রশাসন সচিব মহিবুল হক এটি নির্মাণে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছিলেন।
সর্বশেষ
- জিয়াউর রহমানের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া
- মায়ের জানাজায় দোয়া চাইলেন ছেলে
- খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত
- যতদূর চোখ যায়, মানুষ আর মানুষ
- খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিচ্ছেন ৩২ দেশের কূটনীতিক
- খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণে শোকে স্তব্ধ যশোর
- খালেদা জিয়ার জানাজা : জনসমুদ্র মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ
- খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে যশোরের বিভিন্ন মহলের শোক
