নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডের আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে বুনো আসাদকে হত্যার ঘটনায় সোমবার আদালতে মামলা করা হয়েছে।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের বিষয়ে থানায় কোনো মামলা আছে কিনা তা সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতের ভাই সাহিদুর রহমান সাতজনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, শংকরপুর মাঠপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাসের ছেলে চঞ্চল, খোকনের ছেলে আকাশ, খাইরুল মিয়ার ছেলে লিপন, বিশ্বজিৎ মুখার্জীর ছেলে ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী ওরফে উপল মুখার্জী ও চাঁচড়া রায়পাড়ার বিপ্লব।
মামলায় সাহিদুর রহমান উল্লেখ করেছেন, গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আসাদ ওষুধ কেনার জন্য নাজির শংকরপুর সাদেক দারোগার মোড়ের নুরুন্নাহার হোমিও হলে যান। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা আচমকা তার ওপর হামলা চালান।
আসামিদের মধ্যে খাবড়ি হাসান বার্মিজ চাকু দিয়ে আসাদের বুকে আঘাত করলে গুরুতর জখম হয়। অন্য আসামিরা এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকা কেড়ে নেন। পরে আসাদকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে আবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ নভেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ৮ নভেম্বর রাতে খাবড়ি হাসান, চঞ্চল, আকাশ ও বিপ্লবকে আসামি করে আসাদকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ এনে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন তার ভাই সাহিদুর রহমান।