নিজস্ব প্রতিবেদক: সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের বি পতেঙ্গালী গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় রোববার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন ডাকাতির ঘটনার শিকার ওই গ্রামের মৃত নয়ন চক্রবর্তীর ছেলে কমল চক্রবর্তী। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়। ডাকাতির সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি।
বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, শনিবার রাত ১১ টায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে দোতলা ৮ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনের ঘরের দরজা ও নিচের তলার লোহার গ্রিলের দরজা বন্ধ করে বাদি ও তার স্ত্রী অরুন্ধতীসহ পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২ টা বেজে ৩৫ মিনিটের সময় ৬/৭ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল বাদির রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ও রান্না ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।
বাদির শয়ন কক্ষের দরজা ধাক্কা মেরে ভেঙ্গে ফেলে। ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের মুখে রেখে বাদিকে চুপ থাকতে বলে। কোন প্রকার চিৎকার করলে খুন করে ফেলবে। বাদি জোরে কথা বললে এক ডাকাত বাদির কপালে আঘাত করে। ডাকাতরা ধুতি ও গামছা দিয়ে বাদি ও বাদির স্ত্রী দুজনকে বেঁধে ফেলে।
বাদির স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারির চাবি কোথায় আছে জানতে চাইলে সে ভয়ে বলে দেয়। আলমারি খুলে নগদ ১০ হাজার টাকা, ৭ ভরি ১৫ আনা ওজনের স্বর্ণের গহনা লুট করে। এরপর বাদির কাকাতো ভাই শ্যামল চক্রবর্তীর ঘরে ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রীকে একই ভাবে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারির চাবি খুলে নগদ ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা ৪ ভরি ১২ আনা স্বর্ণালংকার ও বাদির কাকিমা মঞ্জু চক্রবর্তীর ঘরে ঢুকে তার কানে থাকা ১ জোড়া স্বর্ণের দুল জোর করে টান দিয়ে কেড়ে নেয়।
একজন ডাকাত সদস্য বাদির ছেলে অনিক চক্রবর্তীর দরজার কড়া নাড়লে সে দরজা খুলে দিলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার মানি ব্যাগ থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। বাদির কাকাতো ভাই সঞ্জিব চক্রবর্তী ডাকাত দলের ডাকাতি করার সময় শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।
এ সময় সে প্রতিবেশীদের মোবাইল ফোনে ডাকাতি করার কথা জানায়। ডাকাতির খবর জানতে পেরে প্রতিবেশীরা চিৎকার দিলে গ্রামের লোকজন ঘেরাও করার চেষ্টা করলে ডাকাত দলের সদস্যরা চলে যাবার সময় একটি হাত বোমা নিক্ষেপ করে। ডাকাত দলের বোমায় প্রতিবেশী সুমন গাজী আহত হয়। তাকে ওই রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।