কল্যাণ ডেস্ক: সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তোলাবাজি মামলায় নাম জড়ানোর পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তলব করেছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। শুধু তা-ই নয়, তার সঙ্গে সম্পর্কিত আরো অনেককেই থানায় হাজিরা দিতে ডেকেছিল দিল্লির আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। ইডি যখন জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে ওই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, তখন অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ইডির তদন্ত পদ্ধতি ‘ভূয়া’ এবং ‘অন্যের মদতপুষ্ট’ বলে পাল্টা অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য দিল্লির একটি আদালতে আপিল করেছিলেন তিনি।
সেই সময় পটিয়ালা কোর্টে জামিন মঞ্জুর হয় অভিনেত্রীর। এবার আর্থিক তছরুপের মামলায় বিচারপতির সামনে জবানবন্দি দিলেন জ্যাকলিন। অভিযোগ, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় সুকেশ অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন।
আর্থিক তছরুপ মামলায় এরইমধ্যে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাকলিন। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, যা কিছু বলবেন বিচারপতির সামনেই। সই মতো শনিবার পটিয়ালা হাউস জেলা আদালতে নিজের জবানবন্দি দেন অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি জানান, ২০০ কোটির এই মামলায় কোনো ধরনের প্রভাব খাটানো হয়নি তার উপর।
এই মুহূর্তে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর। যদিও অনেকেই বলেন, জ্যাকলিনের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলার তদন্তে নেমে এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘কনম্যান’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন বি-টাউনের এই মোহময়ী নায়িকা। অভিনেত্রী সুকেশের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের উপহার নিয়েছেন। যদিও তিনি এ-ও স্বীকার করেছিলেন সুকেশের আর্থিক তছরুপের বিষয়ে সম্পূরণভাবে অজ্ঞাত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মারা গেছেন অস্কারজয়ী আইরিন কারা